করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে ফের সাধারণ ছুটির ঘোষণার কথা বললেও এখন সেদিকে যাচ্ছে না সরকার। ১৫ জুনের পরেও চালু থাকবে অফিস, চলবে গণপরিবহনও।
এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন থেকেই গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়। পরে কয়েকদফা ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত থাকে সাধারণ ছুটি।
ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়লে আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে আলোচনা হয়।
তবে সাধারণ ছুটির দিকে না গিয়ে এখন তিনটি জোন করে শুধুমাত্র রেড জোনে ছুটি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হবে না। কারণ করোনা মোকাবিলার জন্য বিকল্প হিসেবে আমরা জোনিংয়ে যাচ্ছি। যে এলাকা রেড জোন থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।
সংক্রমণ আটকাতে সম্প্রতি সারাদেশকে জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাবাজারে গত ১০ জুন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশি সংক্রমিত অনান্য এলাকাও নির্ধারণ করা আছে। সেই এলাকাগুলোকে আমরা রেড জোন ঘোষণা করতে পারি। রেড জোনে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যাদের খাবার প্রয়োজন পৌঁছে দেয়া হবে।
অল বাংলানিউজ ২৪