AllBanglaNews24

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ৪ জুলাই ২০২১

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া পশুরহাটে এবারের চমক ‘সাহেব’

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া পশুরহাটে এবারের চমক ‘সাহেব’

ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এবারের অনলাইন কোরবানির পশুর হাটে ভাইরাল ৪০ মণের ‘সাহেব’ নামের একটি ষাঁড়। চার বছর বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড় গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়া পাড়া গ্রামের নোমাজ আলী নিজ বাড়িতে চার বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। গরুটিকে একনজর দেখার জন্য মানুষের ভিড়ে নোমাজ আলীর বাড়িতে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

৮-১০ বছর ধরে কুরবানির পশুর হাটে সাটুরিয়া উপজেলার লালনকৃত বিশাল আকৃতির ষাঁড়গুলো ভাইরাল হয়ে আসছে। এবারো আসন্ন কুরবানির পশুর হাটে চমক দেখাবে সাহেব নামের বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টি।

নোমাজ আলীর বড় ছেলে মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাহেব’কে প্রতিদিনই সাধারণ গো খাদ্যের পাশাপাশি কলা, মালটা, মিষ্টি কুমড়া পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল খাওয়ানো হয়। শরীর পরিষ্কারের জন্য নামী-দামী ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে দিনে কয়েকবার গোসল করানো হয়। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ৩টি ফ্যান সবসময় চালু রাখা হয়। আয়েশি খাবার খাওয়া আর চলন বলনের ভাব দেখে সখ করে ওর নাম রেখেছি ‘সাহেব’।

ছোট ছেলে আব্বাস আলী জানান, গত ২৮ জুন পর্যন্ত সাহেব লম্বায় ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি, পেটের ভেড় ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৬ ফুট।

গরুর মালিক নোমাজ আলী জানান, একটি ছোট বাছুরকে চার বছর ধরে দিনরাত নিজ সন্তানের মত লালন পালন করে আসছি। পরিবারের সবাই ষাঁড়টির যত্ন করে। গত বছর বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে ভাল দাম পাইনি বলে বিক্রি করি নাই। এখনতো লকডাউন চলছে তাই দুশ্চিন্তায় আছি।

তিনি আরো বলেন, ৩০ লাখ টাকা হলে সাহেবকে বিক্রি করবেন বলে ধারনা করছেন। তবে বাড়ি থেকে কেউ কিনতে চাইলে দর দাম করে বিক্রি করবো।

সদর উপজেলার হাসলী গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি এবং ফেসবুকে দেখেছি হরগজ গ্রামে নোমাজ আলীর বাড়িতে অনেক বড় একটি ষাঁড় আছে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে দেখতে আসলাম।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক মো. শামিম মোল্লা বলেন, ষাঁড়টির ওজন ৪০ মণের কিছু কম হবে। তবে এ ষাঁড়টি খুব শান্ত স্বভাবের। করোনার প্রভাবে এ বছর বিক্রি করতে না পারলে মালিক খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মনির হোসেন বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা গাবতলির হাটের কাছে হওয়ায় পশু খামারিরা প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করে থাকেন। প্রতি বছরই এই অঞ্চলের বেশী ওজনের ষাঁড় আলোচিত হয়ে আসছে। ‘সাহেব’ নামের ষাঁড়টি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন করেছেন। কোনো সৌখিন ক্রেতা এ ষাঁড়টি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনলে খামারিরা উৎসাহিত হবে। ফেসবুক-ইউটিউবে প্রচারের কারণে সাহেব ‘ভাইরাল’ হয়েছে ।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, জেলার সাতটি উপজেলাতেই নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গবাদি পশু মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। খামারিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখাসহ সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

তিনি আরো জানান, আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ বছর মানিকগঞ্জে ১০ হাজার ৯২৬টি খামারে ৫৫ হাজার ৮৮৮টি গবাদিপশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এতে ২৭ হাজার ৫৫৪টি ষাঁড়, ৯২৮টি বলদ, ১৩টি মহিষ, ১৬ হাজার ২৮৬টি ছাগল এবং ২ হাজার ৮৩৯টি ভেড়া রয়েছে।

শেয়ার করুন

Advertising
allbanglanewspaper-link

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

    Add