AllBanglaNews24

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৮ এপ্রিল ২০২০

কক্সবাজারে প্রস্তুত করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম কবর

কক্সবাজারে প্রস্তুত করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম কবর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের রামুর গর্জনীয়া বড়বিল গ্রামে প্রস্তুত করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম কবর। বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা ও বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘকায় ব্যক্তি জিন্নাত আলীর কবর এটি। আজ বিকেল ৩ টায় জানাজা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তিটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এমনকি তার কবর দেখতেও উৎসুকদের ভিড় জমে। অনেকে সেই ছবি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এর আগে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিন্নাত আলী। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। জিন্নাতের বড় ভাই ইলিয়াছ আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইলিয়াস আলী বলেন, আমাদের সবার প্রিয় জিন্নাত আলী আর নেই। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। সে খুব কষ্ট নিয়ে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি খুব অসহায় অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না।

পরে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী সোমবার রাতে ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, সকালে জিন্নাত আলীকে যখন নিউরোসার্জারিতে আনা হয়, তখন তিনি অজ্ঞান ছিলেন। ওনার পরিস্থিতি এতই জটিল ছিল যে, তার আর জ্ঞান ফেরার সম্ভাবনা ছিল না। তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

জানা যায়, জিন্নাত আলী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ মস্তিষ্কে টিউমার জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে পাঁচদিন কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের কৃষক আমীর হামজার ছেলে জিন্নাত আলী। জন্ম ১৯৯৬ সালে। আমীর হামজার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে জিন্নাত তৃতীয়। ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জিন্নাত আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১২ বছর বয়স থেকেই উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে তার। সে সময় জিন্নাত আলীর উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ২ ইঞ্চি।

অস্বাভাবিক লম্বা হওয়ায় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে জিন্নাত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। এছাড়া কেউ কাজ না দেয়ায় অভাবে আয়-উপার্জন না থাকার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। সেসময় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় । সুস্থ হয়ে জিন্নাত বাড়ি ফেরত যান।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতায় জিন্নাতকে তার এলাকায় একটি দোকানও করে দেয়া হয়।

অল বাংলানিউজ ২৪

শেয়ার করুন

Advertising
allbanglanewspaper-link

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

    Add