AllBanglaNews24

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ৩ জানুয়ারি ২০২৩

কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি মিলবে যেসব খাবারে

কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি মিলবে যেসব খাবারে

সংগৃহীত

মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এবং অলস জীবনযাপনে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ধূমপান, মদ্যপান, জর্দা সেবনের কারণেও কোলেস্টেরল বাড়ে। কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। আর কিছু ওষুধ আছে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সময়ে কমলা চাকা চাকা দেখা দেয় ত্বকে। সাধারণ র‌্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে। বিশেষ করে চোখের উপরে দেখা যায় এই ধরনের ফোলা ভাব। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয়। একটানা বেশিদিন এরকম থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি। কোলেস্টেরল কয়েক ধরনের হয়ে থাকে ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল। এর মধ্যে একটা হলো উপকারী। আর তিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে গিয়ে জমা হয় রক্তনালিতে। জমা হতে হতে রক্তনালির স্বাভাবিক যে রক্তস্রোত তা বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। সঙ্গে চাই নিয়মিত ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম। ধূমপান এবং মদ্যপান ছেড়ে দেওয়াই ভাল। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্‌স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কোন কোন খাবার দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল।

তৈলাক্ত মাছ

স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছ ভাল ফ্যাটের উৎস। এই প্রজাতির মাছগুলো আসলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে।

ফল

দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ অনেক ধরনের ফল রয়েছে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে আপেল, আঙুর, সাইট্রাস ফল এবং স্ট্রবেরি অন্যতম। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্যও সমধিক পরিচিত।

দ্রবণীয় ফাইবার

দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তের প্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে, ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হল লেগিউম, কিডনি বিন, হোল গ্রেইন, ব্রাসেল স্প্রাউট ইত্যাদি।

ওটস

কোলেস্টেরলের রোগীদের ওটস খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কলা মিশিয়ে খাওয়া যায়। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। শিরায় জমার আগেই মলের মাধ্যমে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বার করে দেয়।

বাদাম

অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নেওয়ার পরিবর্তে বাদাম, বীজজাতীয় খাদ্য, অ্যাভোক্যাডো এবং আরও অনেক কিছুর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার বেছে নিতে হবে।

অলিভ অয়েল

উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় অলিভ ওয়েলে ওলেয়িক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড এবং পামিটিক অ্যাসিডের মতো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত অলিভ অয়েল।

মশলা

আদা, রসুন, হলুদ, কালো মরিচ এবং দারচিনির মতো মশলা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভাল। রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মেথি বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। কোলেস্টেরলের রোগীদের রান্নায় এটা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডালজাতীয় শস্য

বিনস ও রাজমা জাতীয় খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ উপকারী। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডায়েটে রাখতেই হবে রাজমা।

শেয়ার করুন

Advertising
allbanglanewspaper-link

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

    Add