AllBanglaNews24

প্রকাশিত: ০১:২৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের জন্য চালু হলো ছাদখোলা বাস

মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের জন্য চালু হলো ছাদখোলা বাস

ছবি : সংগৃহীত

বাসটির খোলা ছাদ দিয়ে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়, নদী ও সাগরের পাশাপাশি বালিয়াড়ীর অপরূপ দৃশ্য এবং সমুদ্র উপকূলের জীবন ও প্রকৃতি

ছাদখোলা বাসে নয়নাভিরাম পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আগে যেতে হতো বিদেশে। দেশের কোনো পর্যটনকেন্দ্রে আগে এই সুবিধা ছিল না। এবার কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিশেষ এই বাসে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। বিশেষ এই বাস সার্ভিসের নাম ‘‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’’।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পর্যটক বাস সার্ভিসটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী। বাসটির আসন সংখ্যা ৪৮টি। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফে যেতে হবে।

সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করা ১০ তরুণ নিয়েছেন এই উদ্যোগ।

বিশেষ এই বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) মো. শাহজাহান আলী বলেন, “শুধু কক্সবাজার নয়; দেশে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করবে।”

অ্যাকোয়াহিলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজিল আহমদ বলেন, পড়াশোনা শেষে তারা ১০ বন্ধু চাকরির জন্য বসে না থেকে স্ব-উদ্যোগী হয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা থেকেই এই উদ্যোগ।

তাদের এই সার্ভিস কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখবে আশা করেন তরুণ এ উদ্যোক্তা।

তানজিল বলেন, প্রাথমিকভাবে মেরিন ড্রাইভ রোডে একটি বাস চালু করা হয়েছে। এতে দোতলায় ৩৬টি এবং নীচতলায় ১২টি আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে ছোট বাসে করে যাত্রীদের উখিয়ার রেজুখাল সেতু পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাসটি যাবে টেকনাফের সাবরাং জিরো লাইনে। বিকেলে পর্যটকদের নিয়ে সাবরাং থেকে কক্সবাজারে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে বাসটি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আসা-যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। যাত্রীদের জন্য থাকবে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাস্তার ব্যবস্থা।

এ ছাড়া, বাসটিতে রয়েছে দেশি-বিদেশি লেখকদের লেখা ভ্রমণকাহিনী ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বই সম্বলিত একটি লাইব্রেরি। থাকছে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ও ওয়াশরুম।

বাসটির ছাদ খোলা থাকায় পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়, নদী ও সাগরের পাশাপাশি বালিয়াড়ীর অপরূপ দৃশ্য এবং সমুদ্র উপকূলের জীবন ও প্রকৃতি।

অল বাংলানিউজ ২৪

শেয়ার করুন

Advertising
allbanglanewspaper-link

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

    Add